বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রায় ২৭ মাস পর পুনর্গণনায় সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আসাদুজ্জামান খলিফা। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক হাসিবুল হাসানের নির্দেশে ভোট পুনর্গণনা করা হয়।
এতে দেখা যায়, ফুটবল প্রতীকে আসাদুজ্জামান খলিফা পেয়েছেন ১ হাজার ১৭২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মামুন পাইক মোরগ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ১৩৫ ভোট। পরে আদালত আসাদুজ্জামানকে বিজয়ী ঘোষণা করে রায় দেন।
২০২১ সালের ১১ নভেম্বর উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে মামুন, আসাদুজ্জামান ছাড়াও লাল মিয়া পাইক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওয়ার্ডের বিএইচপি একাডেমির কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. কামরুজ্জামান ১ হাজার ২৮০ ভোট পাওয়ায় মামুনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। আর আসাদুজ্জামান ১ হাজার ১৮৯ ও লাল মিয়া পান ১ ভোট।
ভোট পুনর্গণনা চেয়ে ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি আদালতে আবেদন করেন আসাদুজ্জামান। রোববার বিচারক হাসিবুল হাসান প্রার্থী ও তাদের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে ভোট পুনর্গণনা হয়। মামুন পাইকের আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম পান্না ও আসাদুজ্জামানের আইনজীবী আজাদ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান বলেছেন, মামুন পাইক কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামানকে প্রভাবিত করে আমাকে হারিয়ে দেন। আমি আদালতের কাছে প্রতিকার চেয়ে ন্যায়বিচার পেয়েছি। জনগণের রায় সফল হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।